Posts

অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন: সংখ্যা, প্রবণতা ও বাস্তবতার খুঁটিনাটি

Image
  https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=32787 গুরুতে ইন্টারন্যাল মাইগ্রেশন নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখেছি। বলা উচিত, রিভিউ। কারণ, এর অনেকটাই বিবেক দেবরায় ও দেবীপ্রসাদ মিশ্রার একটি আর্টিকল "৪০০ মিলিয়ন ড্রিমস" এর উপর ভিত্তি করে লেখা। লেখা এবং আলোচনা গুরুতে পড়ুন। এখানে যা ডেটা/কোড ইত্যাদি ব্যবহার করেছি সেগুলো এই রিপোজ়িটরিতে রাখা আছে, কেউ চাইলে দেখতে পারেন - https://github.com/DattaHub/migrantlabour মূল পেপারটি পড়তে চাইলে -  Debroy, Bibek, and Devi Prasad Misra. "400 Million Dreams! Examining volume and directions of domestic migration in India using novel high frequency data." Indian Public Policy Review 6.1 (2025): 1-54.  https://eacpm.gov.in/wp-content/uploads/2024/12/FINAL-Internal-Migration-Project.docx-Publication-Version.pdf

লুরুঃ কেন বাধ্যতে

Image
"এই পৃথিবীর রাজনীতি-প্রোপাগাণ্ডা  সত্য; তবু শেষ সত্য নয়! বীরভূম একদিন বর্ধিষ্ণু বেঙ্গালুরু হবে,  তবুও তোমার কাছে আমার হৃদয়"  বেঙ্গালুরু কিন্তু আসলে হেব্বি জায়গা, খালি জ্যাম, বন্যা, জলকষ্ট আর লোডশেডিং না হ'লে, আর বাতেলাবাজ + বিগশট বন্ধুর খপ্পরে না পড়লে।  আমার আবার প্রথম ইন্টার্নশিপ ঐখানে, সিস্ট্যাট নামে একটা কোম্পানি, যদিও আমাদের আসল আস্তানা ছিল এইটথ মাইল রোড, অর্থাৎ আয়েসাই ক্যাম্পাস। সে আরেক পৃথিবী। সেখান থেকে ঝুলে-ঝুলে ম্যাজেস্টিকা আসতাম, ম্যাজেস্টিকা থেকে খুলে খুলে এমজি রোড।  অবশ্য বুড়ো হয়েও বহুবার গেছি, বন্ধুবান্ধব-পরিবার আছে, আছে এবং বাড়ছে দিনদিন। আবার নিচ্চয় যাবো, যেতেই হবে। লুরুঃ কেন বাধ্যতে।  কিন্তু ঐ আর কী, শেষবার লুরু গেছিলাম আমি আর পানু। দুম করে চলে গেলাম একদিনের জন্য, কনফারেন্স থেকে। হায়দ্রাবাদ থেকে ওভারনাইট বাসে চেপেছি, তার আবার একদম লাস্ট ক্যুপের টিকিট, দুজনেই যারপরনাই শেকেন এবং স্টার্ড। ঘুমটুম হ'ল না, নামলাম ঠিক অফিস টাইমে, কোনো একটা চওড়া ব্রিজের উপর। মনে পড়ল, ইলিয়ট লিখেছিলেন, "A crowd flowed over London Bridge, so many,/ I had not thought dea...

এ্যাই সম্পর্কে - ১

Image
  ডিঃ অর্থাৎ ডিস্কেলেইমার, আমি কিন্তু এ্যাইফোবিক নই, অর্থাৎ এ্যাইকে আমি ভালো না বাসলেও বিলক্ষণ ভয় খাই, ওরেব্বাবা। দেখুন্না, এ্যাই আমাদের ছবি এঁকে দিচ্ছে, কবিতা লিখে দিচ্ছে, ভিডো বানিয়ে দিচ্ছে, গানও গেয়ে দিচ্ছে। ছাত্রদের দিতেছে ত্রৈরাশিক আর অর্ডিনারি ডিফেকের সলুশন আর শিক্ষকদের দিচ্ছে পাইকিরি খাতাদেখার কল, ইদিকে হিজলদাগড়াদের একহাতে দিচ্ছে ভাবসম্প্রসারণ মার্কা পেপার, অন্যহাতে দিচ্ছে সারাংশ মার্কা পিয়ার-রিভিউ, যদিও প্রথমটি এখন সহনীয়ের খাতায় ঢুকে গেলেও, দ্বিতীয়টি আছে গোপোনে। এ্যাই-ই গাইছে, এ্যাই-ই লিখচে, এ্যাই-ই সেই দেখে মুগ্ধ হয়ে হাততালিও দিচ্ছে। আমরা সেই হাততালি দেওয়া দেখে যৎপরোনাস্তি মুগ্ধ ও বিমূঢ়। প্রাজ্ঞ লোকেরা বলছেন সব-ই পালটে যাবে, নতুন নতুন দিগন্ত খুলে যাবে, এতো লোকে বলছেন যখন যাবে নিশ্চয়ই, তবে এরকম লাস্ট বলেছিল আনন্দলোক পত্রিকা। সিঁথির মোড়ে অ্যাইয়াব্বড়ো সাইনবোর্ড দেখেছিলাম অটো থেকে নেমেই, "উল্টে দেখুন পাল্টে গেছে"। সে অবশ্য আর দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া। তবে যা করছে করুক গে যাক। আমি মনের আনন্দে কঠিন অঙ্কটঙ্ক কষার চেষ্টা করছি, সেসব এ্যাইয়ের সিলেবাসের বাইরে, বই পড়ছি অনেকানেক,...

আলো ঘন হয়ে আসছে

Image
  সন্দেহ একদিন সন্ধ্যায় টেবিল-ল্যাম্পের আলোকবৃত্তে আমার লেখা নানান নাটক আর কবিতা দেখে এক গভীর বিষাদে আক্রান্ত হলাম। যা বলতে চেয়েছি বলেছি কি? নাকি আয়নায় সব উল্টো হয়ে গেছে, ডান হাতকে মনে হচ্ছে বাঁ-হাত? ('ম্যাকবেথে'র পাণ্ডুলিপির খাতায় উৎপল দত্তের একটি কবিতা।) --- এই বইটির ভূমিকায় শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, "২৬ জুন ১৯৭৫ ভারতে এমারজেন্সি ঘোষিত হয়। তারই তিন মাস পূর্তি মুহূর্তে ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ রবীন্দ্রসদনে পিপলস লিটল থিয়েটার উৎপল দত্তের নির্দেশনায় ম্যাকবেথ অভিনয় করে। ১৯৮৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে উৎপল দত্ত আমায় বলেন: “শেক্‌সপিয়রের ম্যাকবেথ যখন আমরা করলাম, আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে শেক্সপিয়রের ম্যাকবেথ-এর চেয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে better play হতে পারে না। এমারজেন্সি-র বিরুদ্ধে এত ভালো নাটক আর নেই। এখনও পর্যন্ত লেখা হয়নি। কিন্তু আমরা জানতাম যে, এটা যে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর এমারজেন্সির বিরুদ্ধে নাটক, সেটা ধরার মতো বুদ্ধি কংগ্রেসিদের নেই। ম্যাকবেথ করলে ওরা বলবে যে এ দল শেক্‌সপিয়র সাধনায় মগ্ন আছে, এদেরকে কিছু বোলো না । তাই হল। ম্যাকবেথকে ওরা কোনো বাধা-টাধা দেয়নি।" তার...

এপিটাফ ও এনট্রপি

Image
এই চারটে কবিতার এক-ই শিরোনাম 'এপিটাফ'। চারজন খ্যাতনামা কবির - ভাস্কর চক্রবর্তী, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, জয়দেব বসু এবং নির্মলেন্দু গুণ। এর মধ্যে শেষজনের যে কবিতাটি দিয়েছি তার শেষ লাইন নিয়ে সামান্য সন্দেহ আছে, "কবর" না "কররেখা" - আমার কাছে বইটি নেই, নেট/সোশ্যাল মিডিয়ায় দুইরকম।    সে যাইহোক, আগে চারটে কবিতা পরপর দিই।    ১) ভাস্কর  ২) শক্তি    ৩) জয়দেব   ৪) নির্মলেন্দু (এর-ই শেষ পংক্তিটি নিয়ে সন্দিহান)   এগুলো একত্র করার কোনো কারণ নেই সেভাবে, হঠাৎ উটকো খেয়াল ছাড়া আর বিশেষ কোনো চালিকাশক্তি এমনিও নেই। তবে, একটা অন্য কথা বলি এই সূত্রে।     আজকে একটা প্যারাডক্সের বই পড়ছিলাম (Gábor Székely -  Paradoxes in Probability Theory and Mathematical Statistics )। প্যারাডক্স যে আমার এমনিও ভারী প্রিয় বিষয় সে তো বলাই বাহুল্য, তার-ই একটা খুঁজছিলাম। খুঁজতে খুঁজতে মনে পড়লো সেই বইয়ের শেষ প্যারাডক্স - অ্যালফ্রেড রেনির একটি উক্তি। আমি একটু অপটু অনুবাদের অপচেষ্টা করি। রেনি বলছেন যে কীভাবে মাত্র এক লাইনের একটি কবিতায় কত কিছু ধরা থাকে, ...

চতুরঙ্গ

Image
  শক্তির এই কবিতাটি বহুপঠিত, অন্তত আমার বা আমার আগের প্রজন্মের। একাধিক বন্ধুকে বিভিন্ন সময় ঐ যে অমোঘ শেষ লাইনটি, ঐটি আওড়াতে শুনেছি। অথবা, প্রথমটি, অনেক সময় প্রথমের পরেই এক লাফে শেষ, দুটি "চাই না" মিলিয়ে দিয়ে। আমিও কি বলিনি? কোনো একদিন কোনো এক আড্ডার পরে সিগারেট ধরিয়ে বাঁচতে চাই না বলেছি তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে, স্পষ্ট মনে পড়ে। অবশ্য তখন বয়স ব্যাপারটা ছিল সেই বাঘের মত যার পিঠে দিব্যি উঠে পড়া যেতো, নেমেও পড়া যেত ইচ্ছে করলে। আর এখন যখন মাঝে-মাঝেই বয়স-বয়স করে একটা তীব্র হা-হুতাশ ওঠে বন্ধুদের আড্ডার ঠেকে, তখন মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে জানলা দিয়ে আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় মেঘের মধ্যে দিয়ে যেন কেউ এই লাইনটি লিখে দিয়ে যাচ্ছেন, দৈববাণীর মত নয়, দৈবাদেশের মত। মনে হয়, এই যে মানুষের কী তীব্র আকুতি দীর্ঘ জীবনের, দীর্ঘ-নীরোগ জীবনের, জীবন প্রকৃত অর্থেই যন্ত্রণাময় এবং পরাহত জেনেও, এই এক অদ্ভুত রহস্য। একেই হয়ত বিভূতিবাবু বলতেন রোমান্স। পথের পাঁচালির সেই লাইনগুলি মনে পড়ে বারংবার। "আজ একথা বুঝি ভাই যে, সুখ ও দুঃখ দুই-ই অপূর্ব। জীবন খুব বড় একটা রোমান্স — বেঁচে থেকে একে ভোগ করাই রোমান্স — অতি তুচ্ছ...

শেষের কবিতা ও কাফকা

Image
  " ‘ওই নীচে গাছতলায় যেখানে নানা রঙের ছ্যাৎলা-পড়া পাথরটার নীচে দিয়ে একটুখানি জল ঝির ঝির করে বয়ে যাচ্ছে ওইখানে বসবেন আসুন।’ লাবণ্য হাতে-বাঁধা ঘড়িটার দিকে চেয়ে বললে, ‘কিন্তু সময় যে অল্প।’ ‘জীবনে সেইটেই তো শোচনীয় সমস্যা লাবণ্যদেবী, সময় অল্প। মরুপথের সঙ্গে আছে আধ-মশক মাত্র জল, যাতে সেটা উছলে উছলে শুকনো ধুলোয় মারা না যায় সেটা নিতান্তই করা চাই। সময় যাদের বিস্তর তাদেরই পাঙ্ক্‌চুয়াল হওয়া শোভা পায়। দেবতার হাতে সময় অসীম; তাই ঠিক সময়টিতে সূর্য ওঠে, ঠিক সময়ে অস্ত যায়। আমাদের মেয়াদ অল্প, পাঙ্ক্‌চুয়াল হতে গিয়ে সময় নষ্ট করা আমাদের পক্ষে অমিতব্যয়িতা। অমরাবতীর কেউ যদি প্রশ্ন করে ‘ভবে এসে করলে কী’ তখন কোন্ লজ্জায় বলব ‘ঘড়ির কাঁটার দিকে চোখ রেখে কাজ করতে করতে জীবনের যা-কিছু সকল-সময়ের অতীত তার দিকে চোখ তোলবার সময় পাই নি’? তাই তো বলতে বাধ্য হলুম, চলুন ওই জায়গাটাতে।’ ওর যেটাতে আপত্তি নেই সেটাতে আর-কারো যে আপত্তি থাকতে পারে, অমিত সেই আশঙ্কাটাকে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে কথাবার্তা কয়। সেইজন্যে তার প্রস্তাবে অপত্তি করা শক্ত। লাবণ্য বললে, ‘চলুন।’ " - শেষের কবিতা, র/ঠা। এর প...