ভাষার
হিংস্রতা নিয়ে
ভাববার
দরকার
আছে বৈকি। শব্দের
ব্যবহারিক প্রয়োগের সুবিশাল অত্যাচারের ইতিহাস
তার
সাক্ষী। হয়তো
অবচেতনেই সেই
হিংস্রতা বাসা
বেঁধে
থাকে। আমরা
অক্লেশে বলে
ফেলি
'অমুক
খেলোয়াড় আজ
জাত
চিনিয়ে
দিলেন',
'চায়ে
চুধ
মিশিয়ে
জাত
নষ্ট'
- সব-ই বর্ণপরিচয়ের সূক্ষ্ম মোহ। আর
তার
ভেতর
থেকে
উঁকি
দেয়
প্রাচীন হিংস্রতা। ঠিক যেরকম
এখন
চলছে
প্রতিনিয়ত। এগুলি প্রচন্ড প্রহারের মত
হিংসা
নয়,
এগুলি
প্রাত্যহিক দোতলা
থেকে
ছুঁড়ে
দেওয়া
জঞ্জালের মত,
মশার
কামড়ের
মত। ভিকটর
ক্লেম্পারের বলেছিলেন,
"It's not the big things that are important, but the everyday life
of tyranny, which may be forgotten. A thousand mosquito bites are
worse than a blow on the head. I observe, I note, the mosquito
bites."
এইসব
অপমান
ঐ
সহস্র
মশার
কামড়।
জ্বলুনি হয়।
রাগ
হয়।
তার
থেকেও
বড়ো
কথা
দমবন্ধ
লাগে। বারংবার মনে
হয়,
এই
কী
প্রতিবাদের ভাষ্য
না
ভায়োলেন্ট স্পিচ?
এ
কি
শুধু
ব্যাঙ্গ না
ডমিনেট
করার
টুল?
প্রাজ্ঞ লোকে
বলবেন, কৈ না
তো।
ঐ
স্লোগান তো
আমিও
শুনি,
আমার
তো
কানে
লাগে
না।
আমার
আপত্তি
হয়
না
"ছোটোলোক" শুনে, "হাওয়াই চটি"
শুনে,
"টালির
চাল"
নিয়ে
বিদ্রূপ শুনে।
আমার
কানে
লাগে
না
মহিলা
রাজনীতিকদের "আপা", "পিসি", "তাই" বলে সম্বোধন। মনে হয় না, যেগুলি আদতে ছিল
স্নেহের সম্পর্ক, স্লোগানে বদলে
যায়
তাচ্ছিল্যে। তবুও
স্বাভাবিক লাগে।
লাগবেই। আরে,
চটি
মানে
তো
চটি-ই, পিসি মানে
তো
অভিধানেই আছে,
তাছাড়া
উনি
তো
"ভাইপো"-র "পিসি"। ইন্ট্রিনজ়িক্যালি শব্দগুলো বাজে
না।
কিন্তু
এইরকম
একটা
স্নেহের সম্পর্ক-কে
রাতদিন
ভিলিফাই করলে আমি
ব্যক্তিগতভাবে কোথাও একটা
বিপন্ন বোধ করি।
আমার
যেমন
একমাত্র কাছের
আত্মীয়
ছিলেন
পিসিই।
এবার
লোকে
বলবে
ধুত্তেরি এ
তো
তোর
পিসিকে
বলেনি।
আমি
জানি।
কিন্তু
কেন
লোকে
এই সম্বোধনগুলো করে সেটা
বুঝি। বুঝি এইসব
ডাক
ভালোবাসার নয়,
ভায়োলেন্সের।
হ্যাঁ,
ভাষা-হিংস্রতা বাংলা ভাষায় নতুন
নয়। পাবলিক
ট্রান্সপোর্টে যারা যাতায়াত করেছেন তারা জানেন। ময়দানে খেলা দেখতে যাওয়া লোক
জানেন। রাজনৈতিক পরিসরেও নয়। বাংলাদেশের সড়ক
নিরাপত্তা আন্দোলনের সময়ের
স্লোগান দেখে
চমকে
উঠেছিলাম মনে
পড়ে।
রাজপথে
হাতে
লেখা
স্লোগান ‘পুলিশ কোন
চ্যাটের বাল’,
‘পাতার
নাম
পুদিনা
পুলিশ
তোমায়
…’। গতকাল দেখলাম অবিকল প্রতিবিম্ব, অভিনেত্রী
দেবলীনা দত্ত গাইছেন, “পুলিশের গালে গালে, চটি মারো তালে তালে।“ তারও কয়েকদিন আগে এক গেরুয়া ছাত্রনেতা
পুলিশকে চুড়ি পরতে বলেছিলেন জলকামানের গোলা খেয়ে। আর … আমেরিকা বা পশ্চিম দেশে
কী
হয়
সে
প্রসঙ্গ এড়িয়েই
গেলাম,
কারণ
সে
তো
আমার
ভাষা
নয়,
এবং
তার
হিংসার
ইতিহাস
আরও
ব্যাপক।
কেউ
হয়তো
বলবেন
এইসব পোলিটিক্যাল
কারেক্টনেস। এই সব ছিদ্রাণ্বেষণ। এবং তোমাদের তো সবেতেই বড্ডো বাড়াবাড়ি। কেউ
বলবেন,
ভাষা
কি
আর
সত্যিই
হিংস্র?
সে
কী
শারীরিক আঘাতের
সমতুল? এই প্রসঙ্গে ভিটগেন্সটাইনের ল্যাঙ্গোয়েজ-গেম
স্মর্তব্য, যার গোড়ার
কথা এই যে শব্দের অর্থ
সততই
ম্যালিএবল, শেপ-শিফটিং, এবং কনটেক্সট-নির্ভর। অপমানজনক লাগছে
কি
না
বুঝতে
গেলে
আভিধানিক অর্থ
নয়,
বুঝতে
হবে
কনটেক্সট।
এবং
বুঝতে
হবে
এ
বিষয়ে
ঐকমত্য
সম্ভব
না। যদি
আমি বলি আমার ভয় করে আপনাদের এই রাজনৈতিক বাস্তবতায়, আপনাদের প্রতিবাদের নামে ঐ হিংস্র
ভাষায়ও - আপনি হর্গিজ় বলতে পারেন না, নাঃ, সে ভয় অমূলক।
"When Milo Yiannopoulos says “feminism is cancer,” for instance, it may
be heard differently by Haidt and Lukianoff than by Lisa Feldman Barrett. As
white men, Haidt and Lukianoff likely don’t have a reference point to
understand what it feels like for a woman to hear these words. They won’t cut
the same way.
For people who occupy positions of power in society, there may not be a single
word they would ever consider violence. But that doesn’t mean other people
can’t legitimately experience some speech as violence."
Wittgenstein on Whether Speech Is Violence, When is speech
violence? Sometimes. It depends. That’s a complicated question. (https://daily.jstor.org/wittgenstein-whether-speech-violence/)
No comments:
Post a Comment