Monday, September 9, 2024

স্মৃতি-বিস্মৃতি-ক্ষমতা

 “The struggle of man against power is the struggle of memory against forgetting”

হতে পারে ক্লিশে উক্তি, তবুও এইটাই বলার ছিল। কারণ, আমরা ধীরে ধীরে ভুলে যাবো, অল্প অল্প করে, আস্তে আস্তে, সেকেণ্ডস অ্যাণ্ড মিনিটস উইল ডু দেয়ার ট্রিকস। কারণ, আমাদের সিস্টেম্যাটিক্যালি ভুলিয়ে দেওয়া হবে। তাই, মনে করে রাখুন। যারা ক্ষমতার আস্ফালনের পাশে, যারা ক্ষমতাহীনের আর্তনাদের পাশে। মনে রাখুন। যারা মানবিকতার প্রশ্ন তুলছেন, যারা অমানবিকতার উল্লাস করছেন। মনে রাখুন। যারা অসহায়তাকে বলছেন অপপ্রচার, যারা নির্দোষকে তুলে দিচ্ছেন উন্মত্ত জনতার গিলোটিনে অথবা দোষীকে আড়াল করছেন সর্বশক্তি দিয়ে। সব-ই মনে রাখুন। যারা লক্ষ্যস্থির রেখেছেন ন্যায্য বিচারের দাবিতে, আর যারা সেই সুযোগে শানিয়ে নিচ্ছেন দাঁত-নখ। সব, স-ব। পারলে লিখেই রাখুন। প্রতিবেশী দেশের প্রবাদ, Even the faintest ink is stronger than the strongest memory!
কারণ সত্যিই ভুলিয়ে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রযন্ত্রের সব থেকে বড়ো অস্ত্র কিন্তু ঐ মিসডিরেকশন, আর সবথেকে বড়ো ভরসা মানুষের ভাসমান বায়বীয় স্মৃতি। আর আখ্যান পালটে যেতে কতক্ষণ? দ্য পাস্ট ইজ় আ ডিফারেন্ট কান্ট্রি - অতীত এক অন্য দেশ।
'অ্যালিস ইন ওয়াণ্ডারল্যাণ্ড' পড়েছিলাম সেই কোন ছোটোবেলায়। দিদিদের স্কুলে পাঠ্য ছিল, র্যাপিড রিডিং। আমি শুনতাম পাশে বসে। তার এক আশ্চর্য দৃশ্য মনে পড়ে। সেই পৃথিবীর হৃদয়েশ্বরী, কুইন-অফ-হার্ট, বাগানে শুধুই লাল গোলাপ চান, তাই তিন মালি, ফাইভ, সেভন আর টু, প্রাণপণে লাল রঙ করতে থাকে সাদা গোলাপের গায়ে। সে কী প্রচণ্ড তাড়া-ই না তাদের, কারণ রঙ না মিললেই তো 'অফ উইথ দেয়ার হেডস'!
আমার এই অতিকায় মুন্ডুটাই বা কতক্ষণ থাকে, কে জানে?

No comments:

Post a Comment