সামাজিক সমঝোতা

 "সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ডায়রি" বইটি শুরুই হচ্ছে এই ছোট্ট এন্ট্রি-টি দিয়ে। মাঝে মাঝেই হন্টিং সুরের মত, পুরোনো বকেয়া কাজের অপরাধবোধের মত এই একটা লাইন ফিরে ফিরে আসে। মাঝে মাঝেই চারদিকে তাকিয়ে মনে হয় যেন আর মানুষের বিবেক, চেতনা, ভালো-খারাপ বোধ কিচ্ছু নেই, অন্যায়ের দিকে ওঠা আঙ্গুল নেই, সামনে কোনো আয়না নেই। আছে শুধু অনন্ত "সামাজিক সমঝোতা"।

এইসব ভাবনা এলেই মনে মনে দাঁত চিপে ভাবি (আসলে প্রার্থনা করি অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে) যেন এমন একদিন আমার-ও না আসে যে সমস্ত সামাজিক ও অন্যান্য সমঝোতা-ই আমার বধ্যভূমি হয়, আমার জেলখানা হয়ে যায়। তাতে যদি জীবন বন্ধুহীন ও অসামাজিক হয়ে যায়, যাক।
আমাকে এই বিস্ফোরক জিনিষটি পড়িয়েছিল অনির্বাণ। একদিন মেসেঞ্জারে ঠিক এই ছবিটাই পাঠিয়েছিল। সঙ্গে আর কিছু টেক্সট নেই। এইটাই।
না সন্দীপন লোক বড়ো ভালো ছিলেন এমন কথা আমি আদৌ ভাবি না। কিন্তু আমি ওঁর লেখার মধ্যে আটকে গেছি। আর 'বেরুনোর দরজা ক্রমশই ভারি হয়ে আসছে' আমি জানি।



Comments

Popular posts from this blog

কামাই

যে ভাষায় আমের নাম ...