"সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ডায়রি" বইটি শুরুই হচ্ছে এই ছোট্ট এন্ট্রি-টি দিয়ে। মাঝে মাঝেই হন্টিং সুরের মত, পুরোনো বকেয়া কাজের অপরাধবোধের মত এই একটা লাইন ফিরে ফিরে আসে। মাঝে মাঝেই চারদিকে তাকিয়ে মনে হয় যেন আর মানুষের বিবেক, চেতনা, ভালো-খারাপ বোধ কিচ্ছু নেই, অন্যায়ের দিকে ওঠা আঙ্গুল নেই, সামনে কোনো আয়না নেই। আছে শুধু অনন্ত "সামাজিক সমঝোতা"।
এ পাড়ায় আমার নাম-ডাক নেই, এককালে যাও একটা ডাক-নাম ছিলো তাও হারিয়ে গেছে। আমি এখানেই একটা কলেজে পড়াই, আর কেউ না দেখলেই রাশি-রাশি কাগজ-পত্রে দুর্বোধ্য আঁক কাটি। একটা আঁকে কঠিন রোগ সেরে যায়, একটা আঁকে চোর ধরা পড়ে, আবার একটা আঁক কষলেই বাড়ির অ্যান্টেনায় একটা পাখি এসে দোল খায় ! তবু এই বয়সেও মাঝে-মাঝেই অঙ্ক আটকে যায়, তখন এই গ্রহান্তরের একটা নির্জন গুহায় বসে ছাদের দিকে চেয়ে কল্পনা করে নি একটা ছোট্ট ঘুলঘুলি, আর একটা চড়ুই এসে তাতে বসছে, আবার উড়ে যাচ্ছে ... এই যে দু-একটা গল্প, সেই চড়ুইটার কাছেই শুনেছিলাম !
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment