ব্রেশটের একটি দুটি লাইন আমরা বারংবার বলতাম, নাটকের দিনগুলোতে। হেঁকে বলতাম, "আমাদের অন্ধকার দিনগুলিতে গান হবে?"। জানতাম একজন বন্ধু ঠিক উত্তর দেবে, "হ্যাঁ, আমাদের অন্ধকার দিনগুলি নিয়ে গান হবে।" আর এই কবিতাটা কোথাও যেন টুকে রেখেছিলাম। ভাবতাম এই ক্রাইসিসটুকু কারুর কেন নেই?
এ পাড়ায় আমার নাম-ডাক নেই, এককালে যাও একটা ডাক-নাম ছিলো তাও হারিয়ে গেছে। আমি এখানেই একটা কলেজে পড়াই, আর কেউ না দেখলেই রাশি-রাশি কাগজ-পত্রে দুর্বোধ্য আঁক কাটি। একটা আঁকে কঠিন রোগ সেরে যায়, একটা আঁকে চোর ধরা পড়ে, আবার একটা আঁক কষলেই বাড়ির অ্যান্টেনায় একটা পাখি এসে দোল খায় ! তবু এই বয়সেও মাঝে-মাঝেই অঙ্ক আটকে যায়, তখন এই গ্রহান্তরের একটা নির্জন গুহায় বসে ছাদের দিকে চেয়ে কল্পনা করে নি একটা ছোট্ট ঘুলঘুলি, আর একটা চড়ুই এসে তাতে বসছে, আবার উড়ে যাচ্ছে ... এই যে দু-একটা গল্প, সেই চড়ুইটার কাছেই শুনেছিলাম !
Tuesday, May 21, 2024
ব্রেশট
ব্রেশটের সেই বিখ্যাত, বহুব্যবহৃত ও বিপর্যস্ত দুটো লাইন পড়েছিলাম সন্দীপনের কোনো একটি চটি বইয়ের পুস্তানিতে, এখন বিস্মৃত। যে সন্দীপন লিখেছিলেন, তাঁর কাছে শ্রেষ্ঠ কবিতা যেন একটি জ্যামুক্ত তির। যা ক্রমাগত লক্ষ্যের দিকে যেতে যেতে, বারংবার লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে, অথচ, কি আশ্চর্য, তবুও সে লক্ষ্যের দিকে যেতেই থাকবে, সে লক্ষ্যের দিকেই যেতে থাকবে। (ঠিক এইটাই বলেননি, কিন্তু এর কাছাকাছিই কিছু একটা।)
ব্রেশটের কবিতা সেই তিরের মত। রাজনৈতিক ক্ষমতার পিছু পিছু অতর্কিত আততায়ীর মত সে ধাওয়া করেই যাবে। যতদিন আকাশে সূর্য তারা আছে।
আজকে ১০, ওঁর জন্মদিন গেল। আর কদিন পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি, রাইখস্ত্যাগে বই পোড়ানোর দিন। তার ঠিক পরের দিন, ২৮, ব্রেশট জার্মানি ত্যাগ করেন। ১৯৩৩ সালে। আশা করি সেই ইতিহাস আর কোনোদিনই ফিরে আসবে না। অবশ্য আশা আর প্রেম ছাড়া, অন্তিম মূল্য আর কিসে?
The Burning Of The Books
When the Regime
commanded the unlawful books to be burned,
teams of dull oxen hauled huge cartloads to the bonfires.
Then a banished writer, one of the best,
scanning the list of excommunicated texts,
became enraged: he'd been excluded!
He rushed to his desk, full of contemptuous wrath,
to write fierce letters to the morons in power —
Burn me! he wrote with his blazing pen —
Haven't I always reported the truth?
Now here you are, treating me like a liar!
Burn me!
Translated by Michael R. Burch
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment