Saturday, August 10, 2024

পরাজয়ের গ্লানি

 যত দিন যাচ্ছে আস্তে আস্তে একরকমের ডিফিটিজ়ম পেয়ে বসছে, নৈরাশ্যবাদ বা হতাশা নয়, একরকমের দৃঢ় বিশ্বাস যে এই বিশ্রী অন্ধকার সময় থেকে মুক্তি নেই, উত্তরণ নেই। আর-জি-করের ঘটনা দেখে সেটাই আরেকটু চেপে বসলো।

শুধু উত্তরণ নেই তাইই না, আসলে ঠিক কতটা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছি, তার-ও বোধ নেই। বোধ নেইঁ, তাই বিবেক-ও নেই। নেই কোনো কালেকটিভ কনসায়েন্স - যে সচেতনতা থেকে অতি সাধারণ, অসহায় মানুষ-ও বোঝে যে সে-ও আক্রান্ত। তার ঘর পোড়াও শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
আমাদের পড়ে আছে শুধু ব্যাপক সামাজিক অ্যামনেশিয়া, স্মৃতিলোপ। এবং সেটাও চাপিয়েই দেওয়া। এ দোষ ব্যক্তিগত নয়, এও এক বিশ্বজোড়া খেলা।
গতবছর একজন ছাত্রর মৃত্যুর খবর দেখে ভেবেছিলাম, এর কি কোনো বিহিত নেই, এর শাস্তি নেই? তারপর ভেবেছিলাম নাঃ, নিশ্চয়ই কিছু একটা হবে, প্রশাসন 'নড়েচড়ে' বসবেন। বলাই বাহুল্য, কিছুই হয়নি। এ জীবন ফাস্ট ফরোয়ার্ডে বীতশোক হয় ও হবে।
এখনও তাই-ই ভাবছি, কিছু হয়তো হবে? ভাবছি প্রাইভেসি ইত্যাদির চিন্তা চুলোয় যাক, আগে নিরাপত্তা সুরক্ষিত হোক, তাতে গোটা পৃথিবীই নজরাধীন হলে হবে, এমনিও আমরা একটা বিশাল ডিজিট্যাল প্যানঅপ্টিকনের মধ্যেই আছি। আরেকটু থাকলে কিছু এমন ক্ষতি নেই।
তবে, এসব কিস্যু হবে না। কয়েকজন মানুষ হয়তো কয়েকদিন চেঁচিয়ে যাবেন, তারপর অন্য কিছু চলে আসবে, অন্য কোনো আউটরেজের কারণ, অথবা একটা দারুণ সুখবর। হতেই হবে। না হয়ে আর উপায় কী?

No comments:

Post a Comment