কামাই
রবিবারের বিকেল, বাইরে বরফ পড়বে বলেও পড়েনি, এমন সময় এক কাপ কড়া কফি নিয়ে ক্লাসের বাচ্চাদের সেমেস্টারের শেষে পার্টিসিপেশানের জন্য নম্বর-টম্বর দিচ্ছিলাম ! তা এমনিতে আমি হালকা কিপটে বলে বদনাম থাকলেও এসব ব্যাপারে হাতখোলা নই এর’ম বললে অন্যায়-ই হবে – তা-ও, পরপর পাঁচে পাঁচ বসাতে বসাতে একজনের নামে এসে চোখ আটকে গেলো – অনেক চেষ্টা করেও একে ক্লাসে শেষ কবে দেখা গেছে মনে করতে পারলুম না, তো দাগটানা খাতায় শুন্যটা বসাতে যাচ্ছি হঠাৎ শুনলেন ফাঁপা ছাদের উপর থেকে কে যেন খ্যাঁক খ্যঁক করে হেসে উঠলো ... প্রথমে ভাবলাম ফুর্তিবাজ আন্ডারগ্র্যাড, পার্টি-ফার্টি করছে –এমন সময় খেয়াল পড়লো কই উপরে তো কেউ নেই, সে ফ্ল্যাট তো বহুদিন ফাঁকা ... তারপর বুঝলাম নাহ পোলাপান প্রতিবেশী নয়, এ নিশ্চয়ই আমার-ই বিবেকের রোলে পার্ট পেয়েছে ... এখন ক্যিউ পেয়ে একটা অট্টহাস্য ছেড়ে দিয়েছে ... তা মনটা বেশ উদাস হয়ে গেলো, তাই ভাবলাম আজ না হয় কামাইয়ের গল্প বলেই দু-পয়সা কামাই ! তা সত্যজিতের যেমন ফেলুদা-শঙ্কু-তারিণীখুড়ো, আমার-ও এইসব গল্পের নায়ক কিন্তু জনাকয়েক অকুতোভয়, অ্যাডভেঞ্চারাস কিন্তু আপাদমস্তক ল্যাদখোর বাঙালী-শাবক, আমি ছুটির...