পঁচিশে

বসে বসে গ্রেডিং করছি আর মাঝে মাঝে ফেসবুক খুললেই দাদুকবি আছড়ে পড়ছেন, এই বিষম অবস্থায় একটা গল্প মনে পড়ে গেলো ... তখন বয়েস ছয় কি সাত ! সে সময় পাড়ায় পাড়ায় পূণ্য পঁচিশের আশেপাশে ঢালাও রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যা হতো, তাতে পাড়ার যাবতীয় কুচোবাচ্চা ঘন্টার পর ঘন্টা ইস্কুলে শেখানো কবিতা আবৃত্তি করতো আর তাদের মা-বোনেরা দল বেঁধে প্রেম পর্যায়ের গান গাইতেন, কিংবা পূজা। যদিও দাদু বলে গ্যাচেন দুটোই সেম, সময় মতো নকুলদানা না দিলে কিংবা ধূপটুপ না দেখালে প্রাণদেবতা ও প্রাণাধিকা দুয়েই রুষ্ট হন। তো সে যাই হোক, আমার বাবার গুচ্ছ গুচ্ছ ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো অর্থাৎ সামাজিক কাজের মধ্যে একটা ছিলো পাড়ায়-বেপাড়ায় এই সব সন্ধ্যার সংগঠনের দায়িত্ব নেওয়া। ব্যাপারটা খুবি সোজা, বাঙালি হৃদয়ের কথা বলিতে, আঁকিতে, গাহিতে এবং পাকা স্টেজ পেলে নাচিতেও ব্যাকুল, তাকে কেহ একবার শুধাইলেই সে চালু করে দেবে। তা এইটা যে বছরের কথা, সেইবারে শীলস গার্ডেন লেনে অনুষ্ঠান, বাব ার সেখানে আবার দাতব্য ক্লিনিক, অঞ্চলে সবাই ডাক্তারবাবুকে শ্রদ্ধা-ভক্তি করে, ভালো-ও বাসে। বাবা বললেন এইবারে আমাকে একটা ভালো কবিতা আবৃত্তি করতেই হবে, আর দিদ...