ছাদের গান
এই অঞ্চলের গ্রীষ্মকালের রাতগুলি বাষ্পহীন, মেঘহীন এবং নিঃশব্দ। সামনের একটা মাঠ ছাড়া চোখের সীমানায় কোথাও আলোর কোনো উৎস নেই, খালি দূরে হাইওয়ে যেন জ্বলন্ত আংরার শেষ আভাটুকু হয়ে ফুটে থাকে। এই রাত্রের অন্ধকারের মধ্যে মিশে বসে থাকি রোজ, মাথার উপরে তাকিয়ে খুঁজতে থাকি বাল্যবন্ধুর মতো চেনা তারামন্ডল - লুব্ধক চিনতে পারি, চিনতে পারি কালপুরুষের কোমরবন্ধনী, জিজ্ঞাসাচিহ্নের মত হাতড়ে হাতড়ে খুঁজি সপ্তর্ষিদের -- পুলহ, পুলস্ত্য, অত্রি, অঙ্গিরা ... আর? নামগুলো মনে পড়ে না আর, শুধু মনে পড়ে আগের জন্মের শহরে ফেলে আসা একটা অলৌকিক ছাদ আর সে ছাদের কোণায় কোণায় জমে থাকা ধুলোর মত ময়লা একটুকরো ছেলেবেলার গল্প ... এই ছাদটা কিন্তু আসলে আমাদের নয় ... সত্যি বলতে আমাদের কোনোদিন-ই ছাদ ছিলো না, মাথার উপরে তাও যা ছিলো নাম-কা-ওয়াস্তে, পায়ের তলায় সর্ষে বই আর কিচ্ছু ছিলো না... কিন্তু তাতে কী? জীবনে যা কিছু আমাদের অধিগত নয়, শুধু তাই নিয়েই তো গল্প লিখি আমরা, তাই না? এও, তাই একরকমের আনরিক্যুইটেড লাভস্টোরি ... আর সেই প্রেমের গল্পের মুখ্য চরিত্র আমাদের ভাড়াটে বাড়ির মাথার উপরের এক চিলতে একটুখানি ছাদ। *** একটা লম্বা-চওড়া-...