নায়ম হন্তি, ন হন্যতে
তুমি শীতকাল দেখোনি বৃষ্টি, অবশ্য কলকাতায় সে আর এলোই বা কবে? এখানে যেমন করে আসে, পাঁচ মাস, ছ মাস থেকে যায় কখনো বা এক একটা আধ খাওয়া জীবন, সে শীতের গল্প করতে বড় সাধ হয় তোমাকে সেই অবুঝ অবিন্যস্ত সাদা কেমন প্রাণপণে জমিয়ে রাখে কারো দিগভ্রষ্ট পায়ের ছাপ - কেমন সে একবারও উন্মোচিত হয় না তবু কোলাহল তাকে অতিক্রম করে যায় বারবার, বারবার ... সে শীতকালের চিঠিও দেখো পৌঁছবে তোমার ইনবক্সে একদিন ক্রিসমাসের শুভেচ্ছার তলায় হয়তো থাকবে, কাঁচ ভাঙ্গার শব্দ বা নোনতা জলের স্বাদ, যার একটা শব্দও আর সাবধানে লেখা নয়, স্কুলের ওয়াটার বটল বা চেকবই-পাশবইয়ের নীচে থাকবে অনন্তকাল, অচ্ছেদ্য, অদাহ্য, অক্লেদ্য, অশোষ্য অস্পৃশ্য সেই প্রেম। কৈফিয়ৎ : বৃষ্টির ফোন এসেছিল একদিন, উইতে তার সব বই খাতা কেটে দিয়েছে, শুধু অবিনের চিঠি ছাড়া।