আদানিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডাকঘর
খবরে প্রকাশ - এবার ডাক বিভাগ-ও যাবে আদানি-আম্বানিদের হাতে।
(দুটো অপশব্দ ঢুকে গেছে, স্যরি। কী করবো, মুখ খুললেই বেরিয়ে যায়।)
অমল। এইসব চিঠিফিঠি না, আম্বারাজাদের কাছ থেকে রোজ একটা করে ফরোয়ার্ড মেসেজ যদি পাই তা হলে বেশ হয়― এই টিভির চ্যানেলে বসে তাহলে আয়েশ করে পড়ি। কিন্তু আমি তো পড়তে পারি নে! কে পড়ে দেবে? ঘন্টাপিসিমা তো রোজ হোয়াটসঅ্যাপ পড়ে। পিসিমা কি ফেক নিউজ পড়তে পারে? কেউ যদি পড়তে না পারে জমিয়ে রেখে দেব, আমি বড়ো হলে পড়ব। কিন্তু টেকোমোড়ল যদি আমাকে না চেনে! মোড়লমশায়, ও মোড়লমশায়― একটা কথা শুনে যাও।
(মোড়লের প্রবেশ)
টেকোমোড়ল। কে রে! রাস্তার মধ্যে আমাকে ডাকাডাকি করে! কোথাকার অ্যাংকর এটা!
অমল। তুমি তো মোড়লমশায়, তোমাকে তো সবাই মানে।
মোড়ল। (খুশি হইয়া) হাঁ, হাঁ, মানে বৈকি। খুব মানে। আবার চাণক্য বলে ডাকে।
অমল। আম্বা তোমার কথা শোনে? আদা?
মোড়ল। না শুনে তাদের প্রাণ বাঁচে? বাস রে, সাধ্য কী?
অমল। তুমি আম্বাকে বলে দেবে আমারই নাম অমল― আমি সন্ধ্যে হলেই এই টিভির চ্যানেলে বসে থাকি।
মোড়ল। কেন বলো দেখি।
অমল। আমার নামে যদি ফরোয়ার্ড আসে―
মোড়ল। তোমার নামে মেসেজ! কার অত টাইম বাঁ?
অমল। আচ্ছা আম্বা না হোক, আদা-ই যদি মেসেজ পাঠায় তা হলে―
মোড়ল। হা হা হা হা! এ ছেলেটা তো কম নয়। হা হা হা হা! হ্যাঁ আম্বা-আদা তোমাকে মেসেজ পাঠাবে! বাল পাঠাবে! তুমি যে তাঁর পরম বন্ধু! কদিন তোমার সঙ্গে শলা না করে ওঁর বিচি শুকিয়ে যাচ্ছে, খবর পেয়েছি। আর বেশি দেরি নেই, মেসেজ হয়তো আজই আসে কি কালই আসে। ফোনটা চার্জে রেখো।
Comments
Post a Comment